রাবিতে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ককটেলগুলো বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের পাশে পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এর কয়েক মিনিট পর শহীদুল্লাহ কলা ভবনের ভেতরে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর রবীন্দ্র কলাভবনের তৃতীয় তলায় একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পরপর ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে ক্যাম্পাস ফাঁকা হয়ে যায়।
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে থেকে শামীম নামের এক চায়ের দোকানিকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। পরে চারুকলা গেট থেকে দুজনকে আটক করা হয়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য সকাল থেকেই নাশকতার চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। এর অংশ হিসেবে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কারা এসব ঘটিয়েছে, তাদের কাউকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ফটকের সামনে থেকে একটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পাশাপাশি আজ বুধবার থেকে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডাকে দুদিনের ধর্মঘট চলছে।
ওই ধর্মঘটের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ ককটেল বিস্ফোরণের পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর থেকে মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টুকিটাকি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের তথ্যবিষয়ক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন নিহত হন। এর প্রতিবাদে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ধর্মঘটের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।