মানহানির মামলায় এ কে খন্দকারের আগাম জামিন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগে করা মানহানি মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এ কে খন্দকারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন আদালত।’
২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর তথ্য দিয়ে বই লেখার অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক এম ইসহাক ভূঞা মানহানির মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে বাদী এম ইসহাক ভূঞা বলেন, “এ কে খন্দকার তাঁর ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ শীর্ষক বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিব বাহিনী নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানহানিকর কাজ করেছেন। তিনি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যেই এই অবমাননাকর তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এটি নিঃসন্দেহে অপরাধ হয়েছে বলেই আমি মনে করি। দেশ ও জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা সম্পর্কে বিভ্রান্তির অবসান করতেই মামলা করেছি।”