অষ্টম শ্রেণি পড়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ফি নিতেন ৫০০ টাকা

মাগুরায় সদরে ভুয়া নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে শহরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার দেব শর্মা নেতৃত্বে গ্রামীণ মেডিকেল সার্ভিসে অভিযান চালিয়ে এ সাজা দেন। ভুয়া ওই চিকিৎসকের নাম খোরশেদ আলম। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে।
খোরশেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস ও এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি) এবং লন্ডন থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বলে দাবি করতেন। পাশাপাশি ব্যবস্থাপত্রে এসব তিনি ডিগ্রি উল্লেখও করতেন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেও নিজের পরিচয় দিতেন।
আর এই পরিচয় দেখিয়ে দেড় মাস ধরে তিনি মাগুরা শহরের গ্রামীণ মেডিকেল সার্ভিসে রোগী দেখে আসছিলেন। রোগীপ্রতি ফি নিতেন ৫০০ টাকা।
যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, খোরশেদের সব সনদপত্র ভুয়া। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে আজ এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্ত ওই ডাক্তার খোরশেদ আলম অষ্টম শ্রেণি পাস। এর আগে তিনি ভুয়া ডাক্তার হিসেবে ধরা পড়ে কুমিল্লায় ছয় মাস জেল খেটেছেন।
সিভিল সার্জন সাদুল্লাহ বলেন, খোরশেদ আলমের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে কিছু লোক অভিযোগ করে। আর তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাই।