রাজশাহী ওয়াসার এমডির স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ, হত্যার অভিযোগ

রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ধীরেন্দ্রনাথ সরকারের স্ত্রী চন্দনা রানী সরকারের (৪৫) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর কালেক্টরেট এলাকায় অবস্থিত সরকারি বাসভবনের ঘর থেকে রাজপাড়া থানা পুলিশ চন্দনার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
তবে চন্দনা রানীর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে চন্দনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ধীরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাইরে বের হয়েছিলেন। এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর বাসায় ফেরেন। ওই সময় চন্দনা রানীর শোবার ঘর ভেতর থেকে তালা দেওয়া ছিল। বারবার ডাকাডাকি করেও তিনি স্ত্রীর কোনো সাড়া পাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে ডাকেন। পরে তাঁরা দরজার ছিটকিনি ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় চন্দনা রানীর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নগরীর রাজপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ধীরেন্দ্রনাথ সরকার।
প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক কলহের জেরে চন্দনা রানী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান। তবে হত্যার অভিযোগ ওঠায় পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তিনি আরো জানান, ধীরেন্দ্রনাথ সরকারের সরকারি বাসায় তাঁর স্ত্রীর লাশ পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাঁর গলায় দাগ ছিল। ওড়নার কিছু চুমকি ছিঁড়ে নিচে মেঝেতে পড়েছিল। ঘরে একটি মই পাওয়া গেছে।
এদিকে, ঘটনার পর বাড়িতে কোনো সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেননি পরিবারের সদস্যরা।
চন্দনা রানীর এক মেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ছেলে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মর্গে চন্দনা রানীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানান রাজপাড়া থানার পরিদর্শক আনিসুর রহমান।