পারমাণবিক প্রকল্প ঘুরে মন্ত্রী বললেন, ‘সামান্য ঘটনা’

পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। গত বুধবার রাতে গ্যান্ট্রি ক্রেন ভেঙে প্রকল্পের ওয়ার্কশপ বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মন্ত্রী বলেন, ‘সামান্য ঘটনা।’
তবে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সে জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. মঞ্জুরুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির উপদেষ্টা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, প্রকল্প কর্মকর্তা ড. সৈকত আকবর, সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘এই সংবাদ পেয়ে নিজ উদ্যোগে আমি স্বচক্ষে দেখার জন্য এসেছি। বুধবার রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় তখন প্রকল্প এলাকায় কেউ ছিল না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস না পাওয়ায় রাশিয়ানরা কাজ শেষে যাওয়ার সময় গ্যান্ট্রি ক্রেনের অ্যাংকর (রশি দিয়ে বেঁধে রাখা) করে যায়নি। এ কারণে বাতাসের ধাক্কায় গ্যান্ট্রি ক্রেন লাইনের ওপর দিয়ে চলতে চলতে লাইন ছেড়ে নিচে নেমে পাশের ওয়ার্কশপের ওপর ভেঙে পড়ে। ওই সময় কেউ না থাকায় প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
ক্ষতির প্রসঙ্গে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘সামান্য ঘটনা। ওয়ার্কশপ ভবন টিন ও অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি। মূল রিঅ্যাক্টর বসানোর কাজ তো এখনো শুরুই হয়নি। এ ঘটনায় আমাদের সরকারের কোনো ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।’
ইয়াফেস ওসমান আরো জানান, চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও দেড় বছর পর্যন্ত রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ যে কোনো ক্ষতি তাঁদের নিজ খরচে পুনর্বাসন করবে।
প্রকল্পের কাজের জন্য রেললাইনের ওপর একটি সুদীর্ঘ গ্যান্ট্রি ক্রেন নির্মাণ করেছিল রাশিয়ানরা। গত বুধবার রাতে বাতাসের প্রবল বেগে গ্যান্ট্রি ক্রেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে চলতে একপর্যায়ে ভেঙে ওয়ার্কশপের ওপর পড়ে যায়। গ্যান্ট্রি ক্রেনের ওজনে মাটি দেবে যায় এবং ওয়ার্কশপটি বিধ্বস্ত হয়।
এ ছাড়া সাইট অফিস এলাকায় নির্মাণাধীন গ্রীন সিটি এলাকায় একটি গাছ ভেঙে পড়ে ৭০ ফুট পুরাতন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে পড়ে।