এক টাকায় পুরি!

খুলনা শহরের হাদিস পার্কের গেটে এসে দাঁড়াতেই চোখ পড়ল ছোট এক পুরির দোকানে। সেখানে দুজন বিক্রেতা। তাঁদের একজন আপন মনে পুরি বানাচ্ছেন। আর অন্যজন পুরি ভাজছেন। খুবই সাদামাটা দৃশ্য। ভেতরে ঢুকে জানা গেল, সেখানকার প্রতিটি পুরির দাম মাত্র এক টাকা!
দোকানটিতে যিনি পুরি বানাচ্ছিলেন তাঁর নাম আবদুর রব। তিনিই দোকানের মালিক। তাঁর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তাঁরা সব সময় এক টাকার পুরিই বিক্রি করেন। সকাল থেকে রাত ৮টা বা ৯টা পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা।
৩০ বছর হলো পুরির দোকান দিয়েছেন আবদুর রব। প্রথম যখন বিক্রি করতেন, তখন দাম ছিল ৫০ পয়সা। এখন সেটা বেড়ে এক টাকা হয়েছে। বহু বছর হলো, এক টাকা দামেই বিক্রি করছেন পুরি।
আবদুর রব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এইখানে দোকানের বয়স ৩০ বছর। আমি এক টাকা দামের পুরিই বানাই সব সময়। প্রথমে আট আনা (৫০ পয়সা) ছিল পুরি। এখন এক টাকা করে বিক্রি করি। তা-ও অনেক বছর হবে।’
আবদুর রবের সঙ্গে কথোপকথন হয় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে। ছোট ছোট পুরি ভাজছিলেন তিনি। একের পর এক দোকানে ক্রেতারা আসছে। দেখা গেল, সরিষার সস দিয়ে পুরি বিক্রি করছেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এসেও দেখা গেল একই চিত্র। পুরি ভেজেই চলছেন তিনি। ক্রেতারাও আসছে ব্যাপক হারে।
আবদুর রবের দোকানসংলগ্ন হাদিস পার্কে তখন সমাবেশ চলছিল। খুলনার বাইরে ঢাকা, বরিশাল, সিলেট, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে সেই সমাবেশে। ফলে অনেক নতুন ক্রেতা জুটে যায় সেই মুহূর্তে। এক টাকা দামের পুরি বিক্রি হচ্ছে শুনে অনেকেই ঢুঁ মেরে যাচ্ছিল তাঁর দোকানে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, আগে সবাই এক টাকার পুরি বিক্রি করত এখানে। হাদিস পার্কের পাশে চারটি দোকান ছিল। এখন অন্যরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আবদুর রব এক টাকা করেই বিক্রি করছেন। পুরির আকারে পরিবর্তন হয়েছে। তবু দাম এক টাকাই রাখছেন তিনি।