আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিলেন দুই ছাত্রী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/05/11/photo-1494507143.jpg)
রাজধানীর বনানী থানায় করা ধর্ষণ মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে জবানবন্দি দেন ওই দুই তরুণী।
দুজনের জবানবন্দির খবরে আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। এমন বাস্তবতায় গণমাধ্যমকর্মীদের চোখ এড়িয়ে আদালত ছাড়েন তাঁরা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন যা যা ঘটেছে ও যা লেখা আছে, তা হুবহু বলেছেন ভুক্তভোগীরা।
এর আগে দুজনকে হাজির করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)।
মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিব, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী, তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তাঁর বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি সাদমান সাকিবকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।
এজাহারে আরো বলা হয়, ঘটনার দিন সাফাতের জন্মদিনে দুই ছাত্রী যান। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী (অজ্ঞাতপরিচয়) তাঁদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডের দ্য রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান। হোটেলে যাওয়ার আগে বাদী ও তাঁর বান্ধবী জানতেন না সেখানে পার্টি হবে। তাঁদের বলা হয়েছিল, এটা একটা বড় অনুষ্ঠান, অনেক লোকজন থাকবে। অনুষ্ঠান হবে হোটেলের ছাদে। সেখানে যাওয়ার পর তাঁরা ভদ্র কোনো লোককে দেখেননি। সেখানে আরো দুই তরুণী ছিলেন।