রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে ইভিএম : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সুযোগ নেই। ছোট ছোট নির্বাচনে পরীক্ষা করতে হবে ব্যবহার করা যাবে কি না। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলো এটা চায় কি না জানতে হবে। আমরা কারো ওপর এটা চাপিয়ে দিতে চাই না।’
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) পরিচিতি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
রাজনৈতিক দল ও সরকার চাইলে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন করা সম্ভব বলে মনে করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি পেলে এবং সরকার চাইলে আগামী সংসদেও ইভিএম ব্যবহার সম্ভব। এ জন্য বড় ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজ নিতে হবে।’
সিইসি বলেন, ‘ইভিএম বা যে নামেই হোক না কেন, প্রযুক্তিটি সবার কাছে আগে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে ইভিএম নিয়ে আমাদের ভাবনা চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের পর রাজনৈতিক দলসহ সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা পেলেই ইভিএম ব্যবহার করা যাবে।’
সংলাপের পরিকল্পনা জুলাইয়ে
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপের কথা জানান সিইসি নূরুল হুদা।
সিইসি বলেন, ‘রমজানের পরে রোডম্যাপ চূড়ান্ত হবে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অ্যাকশন প্লান বা রোডম্যাপ তৈরি করছে ইসি সচিবালয়। আমরা এটা নিয়ে বসব, চূড়ান্ত করে কাজ শুরু করব।’ তিনি বলেন, ‘মধ্য জুলাইয়ের মধ্যে সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে। আগাম কিছু বলব না, চূড়ান্ত হলেই আপনাদের জানাব।’
আরএফইডির সঙ্গে আলাপকালে এ সংগঠনের জন্য নির্বাচন ভবনে স্থায়ী কক্ষ বরাদ্দ ও সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন সিইসি।
আরএফইডি সভাপতি সোমা ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।