সেই রাতে রেইন ট্রিতে অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি : ব্যবস্থাপক

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে যে রাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন, সেই রাতে ‘অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি’ বলে মন্তব্য করেছেন হোটেলটির ব্যবস্থাপক।
হোটেল ব্যবস্থাপক ফ্রাঙ্ক ফরগেট বলেন, ‘গত ২৮ মার্চ হোটেলটিতে ৫৮ জন স্টাফ কাজ করেছেন। আমরা তাদের সবাইকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের কারো চোখে অস্বাভাবিক কিছু পড়েনি।’
আজ শনিবার সকালে হোটেলটির ফটকের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ফ্রাঙ্ক ফরগেট এ কথা বলেন।
ফরগেট আরো বলেন, ৩০ দিনের বেশি সময়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ জমা রাখা হয় না।
কেন রাখা হয় না- জানতে চাইলে ফরগেট বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ট্যুরিজমের নিয়ম অনুযায়ী আমরা ৩০ দিনের বেশি সময়ের ফুটেজ রাখি না।’
রেইন ট্রির ব্যবস্থাপক বলেন, ‘আজ হোটেলটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল এসেছে। তারা সম্ভাব্য সন্দেহভাজন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছে। অন্যান্য অতিথিদের স্বার্থে আমরা সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছি না।’
ফরগেট জানান, হোটেলটির বারের কোনো লাইসেন্স নেই। এখানে কফি বার রয়েছে। মদের কোনো বার নেই।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী। মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ এবং বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাফাতকে ছয়দিন এবং সাকিফকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।