দেহরক্ষীসহ বিএনপি নেতা হত্যা, আটক নেই

খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও তাঁর দেহরক্ষী নওশের হত্যায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আজ শুক্রবার ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার সানোয়ার হোসেন বলেন, আজ সকাল থেকেই এলাকায় অভিযান চলছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পোশাক পরা পাঁচ-ছয়জন এসে গুলি করতে করতে মিঠুর অফিসে প্রবেশ করে। তারা অফিসের ভেতর ঢুকে মিঠুর মাথায় গুলি করে। এই সময় ৩০ থেকে ৩৫টি গুলির শব্দ শোনা যায়। দুর্বৃত্তরা হত্যাকাণ্ডের পর আবার মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মিঠুর মৃত্যু হয়। মিঠুর দেহরক্ষীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নওশেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
আজ দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ফুলতলা নিজ বাসভবনে দাফন করার কথা রয়েছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকউল্লাহ বলেন, দুর্বৃত্তরা ডিবি পুলিশ ও র্যাবের জ্যাকেট পরে এসেছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর ওপর ২০১০ সালের ৬ মার্চ ফুলবাড়ী গেট এলাকায় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের সামনে হত্যা প্রচেষ্টা চালানো হয়। তবে ওই সময় তাঁর গাড়িচালকের সাহসিকতায় তিনি বেঁচে যান।
নিহত মিঠুর ভাই সেলিম সরদার জানান, ডিবির পোশাক থাকায় মিঠুর নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা কোনো প্রতিরোধ করেনি। তাই দুর্বৃত্তরা অনায়াসেই তাঁর অফিসে ঢুকতে পেরেছে। এর আগে ১৯৯৮ সালে মিঠুর বাবা সরদার আবুল কাশেম ও ২০১০ সালে ভাই আবু সাইদ বাদল ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। আর সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ২০০৮ সালে উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।