শিগগিরই আলো দেখা যাবে : সেতুমন্ত্রী

মেঘ কেটে হঠাৎ আলোর ঝলকানি দেখা যেতে পারে। দেশের চলমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সরকার ও বিরোধী মহলের মধ্যে সংলাপ ও সমঝতার বিষয়ে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী।
বর্তমান ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগেও আমাদের অনেক সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা তা থেকে বেরও হয়ে এসেছি। এবারও আপনারা দেখবেন হঠাৎ করেই হয়তো তা কেটে যাবে। শিগগিরই অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো দেখা যাবে।’
সংলাপ নিয়ে দেশি-বিদেশি প্রস্তাব সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। একটা সমস্যা তৈরি হলে সবার মধ্যেই উদ্বেগ দেখা যায়। আমি আগ বাড়িয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। তবে এ বিষয়গুলো আমাদের ইতিবাচকভাবে দেখা উচিত। এটুকু বলতে পারি সমঝোতার বিষয়ে সরকার ও দলে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। সংলাপের বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেউ কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তবে সবারই দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।’
সংলাপ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি নিয়ে বিএনপির বক্তব্য সম্পর্কে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে তারা তাদের দাবি তুলে ধরেছেন। বিরোধী দলে থাকলে আমরাও একই দাবি তুলতাম।’
সংলাপ সম্পর্কে সরকারে মনোভাব ও সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সংলাপের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। কেননা যে লোকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা দরকার। সমাধান হয়তো হয়েও যেত। খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর যদি তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তবে সমাধানের দরজা খুলে যেত।’
এ সময় পরিবহন খাতের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, অবরোধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবহন খাত। এক হাজার ২০০ গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়েছে। পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত এমন ৪০ জন মানুষ এসব সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন।