‘দক্ষ জনশক্তি হিসেবে শিশুদের গড়ে তোলতে হবে’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর বলেছেন, ‘দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে শিশুদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। শতভাগ শিশুকে স্কুলে আনতে হবে। এ জন্য সরকারের প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে কারিকুলামে কারো অবহেলা করা চলবে না। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশনে মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাব অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা মাহফুজা বেগম। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাহীন আরা বেগম, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী কাশেম জামাল ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আশরাফ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর আরো বলেন, সর্বস্তরের শিশুদের শিক্ষামুখী করার জন্য স্কুলগুলোকে বিভিন্ন প্রকার উপকরণ দেওয়া হয়েছে। শুধু উপকরণ দিলেই চলবে না। নিজেদের মেধা দিয়ে খেলার ছলে, গল্প বলে, ছবি দেখিয়ে শিশুদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। শিশুদের বন্ধু হতে হবে। যাতে মা-বাবা স্কুলে যেতে বারণ করলেও শিশু তখন বলবে, আমি স্কুলে যাব। বাড়িতে থাকব না।
দ্বীপ দেশ মালদ্বীপের উদাহরণ দিয়ে মো. আলমগীর আরো বলেন, মালদ্বীপে মাত্র চার লাখ নাগরিক। গত ১০ বছরে তাদের শিক্ষার হার শত ভাগে পৌঁছে গেছে। তারা সরকারের ওপর নির্ভর করছে না। নিজেদের উদ্যোগে শিক্ষার উন্নতি ঘটাচ্ছে। নিজ খরচে বছরে একবার বিদেশে শিক্ষা সফর করে থাকে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা।
আমাদের ২০২১ সালের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে শিক্ষাকে আরো এগিয়ে নিতে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৫৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পদ ৪২৫টি। ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া এ শিক্ষা পদ্ধতির জন্য এ পর্যন্ত ৩৪৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় শত ভাগ শিশুকে ভর্তি করতে হবে। ভর্তির পর শিশুরা যাতে ঝরে না পড়ে সেদিকেও কঠোর নজর রাখতে হবে।