ছিটবাসীর নাগরিকত্ব জরিপ ৬-১৬ জুলাই

ছিটমহল বিনিময়ের অংশ হিসেবে লালমনিরহাটে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈঠক শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের হলরুমে শুরু হয় এ বৈঠক। শেষ হয় বিকেলে ৫টার দিকে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরে থাকা ১৬২টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়ে আগামী ৬-১৬ জুলাইয়ের যৌথ জরিপ কার্যক্রমের আগে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে দুই দেশের ছিটমহল অধ্যুষিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক পর্যায়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, ছিটমহলবাসী কে কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করবে তা জানতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবে ২৫ সদস্যের একটি দল। অন্যদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে ৫০ সদস্যের আরেকটি দল। তারা উভয় দেশের ছিটমহলের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরিপ কাজ পরিচালনা করবে।
জরিপ শেষে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে জানা যাবে উভয় দেশের সর্বশেষ লোকসংখ্যা এবং কে কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করছে।
বৈঠকে বাংলাদেশি ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ। এ ছাড়া দলে ছিলেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন ও পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক জাহিদুল হক সরকার, কলকাতার বাংলাদেশি হাইকমিশনের কাউন্সিলর আনোয়ারুল ইসলাম, লালমনিরহাট ও পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপারসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি কর্মকর্তা, কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন।
অপর পক্ষে ভারতীয় প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন কোচবিহারের জেলা শাসক (ডিএম) পি উলগানাথন। এ ছাড়া দলে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সন্দীপ মিত্র, দেশটির পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ভূমি কার্যালয়সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জরিপকারী, সুপারভাইজার, দুই দেশের ছিটমহলবাসীর নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে এ বিষয়ে গত ২৫ জুন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ভারতের চ্যাংরাবান্ধায়।
বৈঠক শেষে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ বলেন, গত ২৫ জুনের বৈঠকের ফলোআপ করা হয়েছে। যেখানে ত্রুটি ছিল সেগুলো ঠিকঠাক করা হয়েছে।
ভারতের কোচবিহারের জেলা শাসক পি উলগানাথন বলেন, চ্যাংরাবান্ধায় যে সভা হয়েছিল তার ফলোআপ করা হয়েছে। কিছু সিদ্ধান্ত বাকি ছিল, আজকে সেগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে। আশা করছি, সব কিছু ঠিকভাবে চলবে।