‘ফেলানী হত্যার বিচার লোকদেখানো’
ফেলানী হত্যার রায়ের মূল অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ‘মাসুম’। সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানো নিয়ে বরাবরই সরব ভারতের পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠন।
মাসুমের সাধারণ সম্পাদক কিরিটী রায় বিবিসিকে জানিয়েছেন, বিএসএফের আদালতে আগেই স্থির করা ছিল যে কী রায় দেওয়া হবে, এটা লোকদেখানো বিচার হলো।
কিরিটী রায় বলেন, তাঁর সংগঠন এ ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হয়নি। তবে ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
ফেলানী হত্যা মামলায় বাংলাদেশের পক্ষে থাকা কুড়িগ্রামের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্রাহাম লিংকন রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যে বিচারক প্রথমবার আলোচিত এ মামলার রায় দিয়েছেন, আপিল করার পর সেই বিচারকই আবার মামলাটি পুনর্বিবেচনা করছেন। এ ক্ষেত্রে বিচারকের অন্য কোনো রায় দেওয়ার সুযোগ ছিল না। যদি তিনি অন্য কোনো রায় দিতেন, তাহলে তাঁদের প্রথমে দেওয়া রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেত ‘আগের রায়ে তাহলে ভুল ছিল’, সেটা প্রমাণিত হতো। আর এই কারণেই তাই আগের রায়ই তাঁরা বহাল রাখলেন।
আব্রাহাম লিংকন আরো বলেন, এই রায়ের ফলে বিএসএফের মতো একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর একজন সদস্যের অপকর্মের দায় গোটা বাহিনীটাই নিয়ে নিল আর সেই দায় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ওপরেও বর্তাল।