‘প্রেম’ নিয়ে বিরোধ, লাশ মিলল পরিত্যক্ত কুয়ায়

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় আব্বাস শেখ (২০) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার হরিণাডাঙ্গা গ্রামের একটি মসজিদের পরিত্যক্ত কুয়া থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ও আজ সোমবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন মিতু খাতুন (১৮), পারুল, হাওয়া, জেসমিন, সুরুজ মিয়া, আছাদুজ্জামান বাকু মিয়া ও চান মিয়া।
নিহতের মামা ও পুলিশের ধারণা, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিরোধের জের ধরে আব্বাসকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মামা কামরুল মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে মিতু খাতুনের সঙ্গে তাঁর ভাগ্নের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল।
কামরুলের ভাষ্য, গত শনিবার রাত থেকেই আব্বাস শেখকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আব্বাসকে সুকৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে মিতুর পরিবার। গতকাল রাতে মিতুদের বাড়ির পাশের কুয়া থেকেই আব্বাসের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাবুখালী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে হরিণাডাঙ্গার একটি মসজিদের পরিত্যক্ত কুয়া থেকে আব্বাসের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য পেয়ে নিহতের প্রেমিকা ওই গ্রামের মিতু খাতুনসহ সাতজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এসআই বলেন, নারীঘটিত কারণে আব্বাসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর বস্তায় ভরে কুয়ায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।