ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও কোন ক্ষমতাবলে এখনো মন্ত্রী পদে নিযুক্ত রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।

আগামীকাল বুধবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকার্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

এ বিষয়ে রিটকারী ইউনূস আলী আকন্দ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২ (ঘ) উপদফা অনুসারে মন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই। আমি এর আগে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। নোটিশের জবাব না দেওয়ায় রিট দায়ের করেছি।’ রিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে বিবাদী করা হয়েছে।

দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কোন ক্ষমতাবলে এখনো মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যপদে রয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। জবাব না পেয়ে আজ হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে বলা হয়, সংবিধান অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁর মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার অযোগ্য হবেন।

গত ১৪ জুন একটি দুর্নীতি মামলায় মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ।