পুলিশ ধরার ‘৩৫ মিনিটের’ মধ্যে আসামির মৃত্যু!
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তারের ৩৫ মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই আসামির মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম জবান আলী (৫৫)। তিনি সরিষাবাড়ীর বাউসি চর বাঙ্গালি গ্রামের বাসিন্দা।
তবে নিহতের জামাতার অভিযোগ, থানায় পুলিশের নির্যাতনের পরই জবান আলীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ধরার আগে তাঁর কোনো রোগ ছিল না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে দাদনের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় জবান আলী ও তাঁর স্ত্রী মালেকা বেগমের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ীর ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ২০০৭ সালে আদালত জবান আলী ও তাঁর স্ত্রী মালেকা বেগমের বিরুদ্ধে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
কারাদণ্ডের আদেশের পর থেকে জবান আলী পলাতক ছিলেন। পলাতক অবস্থায় এবার ঈদে তিনি বাড়ি আসেন। আজ বিকেলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে জবান আলী ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার জন্য সরিষাবাড়ী স্টেশনে যান। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ স্টেশন এলাকা থেকে জবান আলী, তাঁর স্ত্রী মালেকা বেগমসহ দুই সন্তানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জবান আলীকে স্টেশনে গ্রেপ্তার করা হয় বিকেল ৫টায়। এরপর থানায় এনে তাঁর নাম খাতায় তালিকাভুক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মাঝেই অসুস্থবোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে তিনি মারা যান।’
তবে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিদুর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জবান আলীর মৃত্যু হয়ে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
নিহতের জামাতা খোরশেদ আলমের ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তাঁর শ্বশুর জবান আলী সুস্থ ছিলেন। তাঁর কোনো অসুখ-বিসুখ ছিল না। পুলিশের নির্যাতনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন, জবান আলীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।