বয়সসীমা বৃদ্ধি আর গাড়িতে পতাকা চান সচিবরা

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত সচিবরা তাঁদের ব্যবহৃত গাড়িতে পতাকা চান। একই সঙ্গে অবসরগ্রহণের বয়সসীমাও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সচিবরা এ দাবি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিলেও পতাকার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
আজ রোববার সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের বিষয়ে সচিবদের ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’ করে আসার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বেশ আগেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
আজকের বৈঠকে সচিবদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সচিবদের পক্ষ থেকেও কিছু দাবি দাওয়া পেশ করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সচিব এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, সচিবদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন। এর বাইরেও বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যেসব শূন্য পদ রয়েছে তা পূরণের ব্যবস্থা করা। দপ্তরভিত্তিক কাজে গতি আনা।
সচিবদের পক্ষ থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো, অবসরকালীন ভাতা বৃদ্ধি ও গাড়িতে পতাকা ব্যবহারের অনুমতি প্রদানসহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সচিব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো সচিবদের অবসরের বয়সসীমা একই থাকলে প্রশাসনের উপরের দিকে অভিজ্ঞতার ঘাটতি তৈরি হয়। এ কারণেই একজন সচিবের অবসরের বয়সসীমা ৬২ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দক্ষ প্রশাসন তৈরি হবে।’
গাড়িতে পতাকা ব্যবহারের বিষয়ে ওই সচিব বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা তাঁদের ব্যবহৃত গাড়িতে সুপ্রিম কোর্টের লোগো সংবলিত পতাকা ব্যবহার করেন। এ ছাড়া আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নিজ নিজ লোগো সংবলিত পতাকা ব্যবহার করেন। এ কারণেই সচিবদের জন্য তাঁদের ব্যবহৃত গাড়িতে পতাকা ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
সচিবদের এসব দাবির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পতাকার বিষয়টি আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’ তবে শেষ পর্যন্ত এটি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
অবসরের বয়সসীমার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অবসরের বয়সসীমা একবার বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার বাড়াতে গেলে একটু ঝামেলা হতে পারে।