জামালপুরে বন্যায় তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা
জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতিতে কোনো উন্নতি আসেনি। সবমিলিয়ে এই জেলার বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে।
গতকাল রোববার যমুনা নদীর পানি দুই সেন্টিমিটার কমলেও আজ সোমবার তা আবারও দুই সেন্টিমিটার বেড়ে গেছে। ফলে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি।
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পানি ছড়িয়ে পড়ছে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ ভাটির শাখা নদীগুলোর তীরের জনপদে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে জামালপুর সদরের তিনটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার পানির কারণে মোট ১০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে জেলার ৬টি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু সড়ক ও বাঁধে।
এদিকে বন্যা দুর্গত মানুষ নিজেদের খাবার ও গরুর খাবারের সংকটে পড়েছে। বন্যার পানি সবচেয়ে বিপদে ফেলেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার জন্য এখন পর্যন্ত ৬০ মেট্রিকটন চাল ও ৬০ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেব সামান্য বলে অভিযোগ করেছে দুর্গত এলাকার মানুষ। দ্রুত ত্রাণ সহায়তা বাড়ানোর দাবি তাদের।