ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেড়পাশা গ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধে বাহিনীর তিন সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এজিএম ফারুক আলম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মেহেদী ও বাপ্পী। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বেড়পাশা এলাকায় ঝালকাঠি-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় ওই এলাকায় ৮ থেকে ১০ জনের একটি ডাকাতদলকে দেখতে পায় পুলিশ। পরে পুলিশ চ্যালেঞ্জ করলে ডাকাত সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষে গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদলের এক সদস্যকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি শাটারগান, একটি গুলি, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি করাত, একটি রেঞ্জ ও একটি ছুরি উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার এম এম মাহামুদ হাসান বলেন, সম্ভবত ওই এলাকার কোনো বাড়িতে অথবা নৈশকোচে ডাকাতির জন্য একদল লোক ওত পেতে ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি ছোড়ে। নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।