অগ্রগতির বাগাড়াম্বরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় : খালেদা জিয়া
ময়মনসিংহে জাকাতের কাপড় সংগ্রহ করতে আসা ২৪ জন নারী-শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
শোকবার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আজ ময়মনসিংহে জাকাতের কাপড় সংগ্রহ করতে আসা ২৪ জন অসহায় মানুষ পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তাদের স্বজনদের মতো আমিও গভীরভাবে ব্যথিত ও শোকাহত।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন,প্রতিবছরই জাকাতের কাপড় বা অর্থ বিলির সময় অসচেতনতার কারণে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। জাকাত প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের উদাসীনতার কারণেই মানুষের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার উপেক্ষিত থাকছে। এই ঘটনায় সরকারও তার দায় এড়াতে পারে না। প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আগেই শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এতগুলো মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না।’
‘মানুষের দারিদ্র্যসীমা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে,মানুষ প্রতিবছর জাকাত সংগ্রহ করতে যেয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে তুলতে বাধ্য হচ্ছে। এই চিত্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের বাগাড়াম্বরের সঙ্গে মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বরং পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের নেওয়া হতদরিদ্র মানুষের জন্য নানা প্রকল্পে যে লুটপাট চলছে এবং শাসকদলের লোকেরা নিজেদের পকেট ভারী করতে যখন মত্ত, তখন এই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের কল্যাণের জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আমরা দুঃখিত।
‘রাষ্ট্র ও সরকার যখন হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভুলে যায়, তখন এই অসহায় মানুষগুলোর ব্যক্তিবিশেষের দয়া ও সাহায্যের ওপর নির্ভর করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর থাকে না এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় প্রতিবছর জাকাত সংগ্রহকারীদের অনেকেই এভাবে পদদলিত হয়ে মারা যান। এই ঘটনা জাতির বিবেককে নাড়া দেয় এবং বিত্তবানদেরও লজ্জিত হওয়ার কথা।’
বিএনপি চেয়ারপারসন এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তব্য পালনে কোনো গাফিলতি আছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখার দাবি জানান। তিনি নিহত ব্যক্তিবর্গের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।