কেন্দ্রীয় যুবদলের সম্পাদকসহ ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফাসহ ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার টাঙ্গাইল সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত রোববার বিএনপির বর্তমান কমিটির নেতাকর্মী ও কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মামলায় শুধু বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীদের আসামি করা হলেও পদবঞ্চিত অংশের কাউকে আসামি করা হয়নি। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যানবাহন ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর এবং জনমনে আতঙ্ক ও ভয়-ভীতি সৃষ্টির অভিযোগও আনা হয়েছে।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশে তাঁর ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালের নেতৃত্বে গত রোববার সকালে ১০০-১৫০ নেতাকর্মী প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে সমবেত হন। তাঁরা টাঙ্গাইল শহরে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা এবং ইটপাটকেল নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াসহ ভাঙচুর, জনমনে আতঙ্ক ও ভয়-ভীতির সৃষ্টি করে।
মামলায় জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাদেকুল আলম খোকা ও আতাউর রজমান জিন্নাহ, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান ও আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হামিদ তালুকদার, প্রচার সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিরুল হক, জেলা তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার রাশেদুল আলম, ছাত্রদলের সহসভাপতি আবেদ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক রাশেদ খান, যুবদলকর্মী তানভির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মানিক মিয়া ও রুবেলকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া রোববার সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপিকর্মী রজব মিয়া, মনিরুজ্জামান তুষার, সিরাজুল ইসলাম, সিফাত মিয়া, শহিদুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ইকবাল হোসেন ও আমির হামজা সিকদারকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আট বিএনপির কর্মীকে সোমবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা বলেন, ‘সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করে পদবঞ্চিতরা জেলা বিএনপির কর্মী সংগ্রহ কর্মসূচিতে প্রশাসনের সহায়তায় হামলা করেছিল। হামলাকারী আলাল নামের একজনকে পুলিশ আটক করলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য সরকারি দল ও প্রশাসন দলের পদবঞ্চিত একটি অংশকে ব্যবহার করে এই হামলা ও মামলা সাজিয়েছে।’