বৃষ্টির পানিতে ডোবে বাজার, চোখের পানিতে ভাসে ব্যবসা

বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে নিত্য ডুবছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। পানিতে ডুবছে চাল, গমসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের বস্তা। জোয়ারের পানি গুদামে ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ এরই মধ্যে ছাড়িয়ে গেছে ৩০০ কোটি টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ’৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় থেকেও এবার ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ’৯০-এর দশক থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ডাল, সরিষা, ধনিয়া, মরিচ, হলুদের ব্যবসা করছেন বেলায়েত হোসাইন। জীবন সায়াহ্নে এসে জোয়ারের পানিতে তিনি সব হারিয়ে এখন চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। কোটি টাকা মূল্যের গুদামজাত পণ্যে সব পানিতে ভিজে যাওয়ায় অনেকের চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছে।
বেলায়েত হোসাইন বলেন, ‘এই বয়সে এত ক্ষতি মেনে নিতে পারছি না। বয়স কম হলে আরো আয় করতে পারতাম। এই বয়সে কি আর পারব? পারব না। কী অবস্থা হবে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এ নিয়ে তিন-তিনবার সব শেষ হয়ে গেল আমার।’
একইভাবে ক্ষতির শিকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, জোয়ার আসলে তাঁরা আর ব্যবসা করতে পারেন না। চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য জোয়ারের পানিতে ভাসে।
আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহসান জাহেদ বলেন, ‘চাল, গম, ডাল, মসলা সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার ৯০ শতাংশ দোকান ও গুদামে পানি ঢুকেছে।’
তৈয়বিয়া ট্রেডার্সের পরিচালক সোলেমান বাদশা বলেন, ‘এ এলাকা ধ্বংস হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাত দফা দাবি দিয়েছিলাম আমরা। এ অনুযায়ী যদি কাজ করত তাহলে এ শহর জলাবদ্ধতা থেকে অনেকাংশে বাঁচত।’