বগুড়াকাণ্ড : এবার তুফানের স্ত্রীসহ তিনজন গ্রেপ্তার

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের পর মা-মেয়ের ওপর নির্যাতন চালিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকারকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় জিতু ও মুন্না নামের আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেমায়েতপুর থেকে সাভার মডেল থানা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর রাতেই তাঁদের নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার-সার্কেল) খোরশেদ আলাম জানান, মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকার গ্রেপ্তার এড়াতে একটি প্রাইভেটকারে করে রাজধানীতে আসছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুরে তল্লাশিচৌকি বসায় পুলিশ। এ সময় সন্দেহভাজন একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে তাঁদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে মামলার অন্য দুই আসামি বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকি ও তাঁর মা রুমি বেগমকে গ্রেপ্তার করে বগুড়ার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার ও তাঁর সহযোগীরা এসএসসি পাস এক ছাত্রীকে ভালো কলেজে ভর্তি করার কথা বলে গত ১৭ জুলাই শহরের নামাজগড় এলাকায় তাঁদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ধর্ষণের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গত শুক্রবার বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তাঁর বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিসহ কয়েকজন মিলে ওই ছাত্রী ও তাঁর মাকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেন। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে তুফান সরকার, তাঁর সহযোগী রুপম ও আলী আজমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।