তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আটক সাংবাদিক আবদুল লতিফ মোড়লকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক।

আজ মঙ্গলবার আবদুল লতিফকে খুলনায় বিচারিক হাকিমের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আসামি পক্ষে আইনজীবীরা সাংবাদিক মোড়লের জামিনের আবেদন করেন।

পরে বিচারিক হাকিম নুসরাত জাবিন শুনানির দিন ধার্য করে মোড়লকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আখতার জাহান রুকু এ তথ্য জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দর দেওয়া একটি ছাগলের মৃত্যুর খবর ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগে সাংবাদিক মোড়লের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করা হয়। সুব্রত ফৌজদার নামের এক ব্যক্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের নিজ বাড়ি থেকে সাংবাদিক মোড়লকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মোড়ল খুলনা শহর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রবাহের ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, গত ৩০ জুলাই একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ‘প্রতিমন্ত্রী ছাগল দিলেন সকালে, মারা গেল রাতে’ শিরোনামের একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটি ফেসবুকে শেয়ার করেন সাংবাদিক আবদুল লতিফ মোড়ল। এতে তিনি প্রতিমন্ত্রীর একটি ছবি দেন এবং কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন। ওই বিষয়টি উল্লেখ করে আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

এদিকে, এক বিবৃতিতে সাংবাদিক মোড়লের বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।