রাজন হত্যা : ২ প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি

সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩) পিটিয়ে হত্যার ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জবানবন্দিতে দিয়েছেন। সিলেটের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক শাহেদুল করীম আজ মঙ্গলবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জবানবন্দি দেওয়া দুই প্রত্যক্ষদর্শী হচ্ছেন কুমারগাঁও এলাকার আজমত উল্লাহ (৫৫) ও ফিরোজ আলী (৬০)। গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ তাঁদের আটক করেছিল। আজ সোমবার বিকেলে রাজন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন তাঁদের আদালতে হাজির করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, নির্যাতনের ঘটনা দেখেও তাঁরা কোনো প্রতিবাদ করেননি এবং পুলিশকেও জানাননি বলে আদালতে স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেছেন, পুলিশকে জানানোর বিষয়টি তাঁদের মাথায় আসেনি। প্রত্যক্ষদর্শী দুজনই রাজন হত্যার লোমহর্ষক বিবরণ দিয়েছেন জবানবন্দিতে।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে উঠানো হয়। স্থানীয় লোকজন মাইক্রোবাস চালক মুহিত আলমকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার পর আরেক আসামি কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় সোমবার তাঁকে আটক করা হয়।
মুহিত ও কামরুলের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ড মামলার অন্য দুই আসামি আলী হায়দার ও নৈশপ্রহরী ময়না মিয়া এখনো পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার সন্ধ্যায় শেখপাড়া এলাকায় মুহিতের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী লিপি বেগমকে আটক করে পুলিশ। তার আগে সকালে আটক করা হয় ইসমাইল হোসেন আবলুস নামের আরো এক সন্দেহভাজনকে।