রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৩ শিক্ষকের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন

চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কারাগারে বন্দি ১৩ জন শিক্ষক নেতাকে ঈদের আগে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান সমিতির নেতারা।
শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পরও ১৩ জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে তাঁদের মুক্তি কামনা করছি।
অন্যথায় তাঁদের মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষকরা। সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি সৈয়দ লকিয়তুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী ও শিমুল মহাজন।
মানববন্ধনে বলা হয়, ঘটনার পর শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির নেতারা স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা প্রশাসকের কাছে ক্ষমা চান। তারপরও একটি প্রভাবশালী মহল মামলা দিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করিয়েছে।
গত বছরের ১৭ জুলাই অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার নবম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখায় বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রশ্নপত্রে স্থানীয় একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্থানীয় চেয়ারম্যানের তুলনা করা হয়। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তদন্তের পর এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে পুলিশ।
আসামিদের মধ্যে আছেন বাঁশখালীর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাহেরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক মো. মিয়া, আনোয়ারা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক বাদল দাশ, পটিয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কান্তি দে, সাতকানিয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজিত করণ, সাধারণ সম্পাদক ওয়াইজ উদ্দিন বোয়ালখালী উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আলী, সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেন, চন্দনাইশ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শীতল ভট্টাচার্য সাধারণ সম্পাদক ই এইচ এম সৈয়দ হোসেন ও প্রশ্ন প্রণয়নকারী বিপুল বড়ুয়া।