নেত্রকোনায় ব্যবসায়ীকে ছাত্রদলনেতার হুমকি, কল রেকর্ড ফাঁস

নেত্রকোনার রৌহা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এক ব্যবসায়ীকে হুমকি ও তার ঘরবাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেছেন। সম্প্রতি মো. ইমরান হোসেন নামে ওই ছাত্রদলনেতার কলরেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
এক মিনিট ৫ সেকেন্ডের ওই ফোনালাপে ওই ছাত্রদলনেতা কুরবান আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে হুমকি, ঘরবাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া ও চাঁদা দাবি করতে শোনা গেছে।
অভিযুক্ত মো. ইমরান হোসেন বর্তমানে রৌহা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে মো. কুরবান আলী একজন ব্যবসায়ী। তিনি পূর্বধলা উপজেলার সিন্দুরাটিয়ার শান্তি মার্কেটে ব্যবসা করেন।
সেই ফোনালাপে মো. ইমরান হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি কুরবান ভাই কইয়া গেলাম, আমি যদি এক বাপের…, আমি কইয়া গেলাম তোমার বাড়ি ঘরদরসহ জ্বালায়া দিয়াম কিন্তু। আমি যদি বিএনপির রাজনীতি করে থাকি, আমি যদি রাজনীতির জায়গা, আমি তুমাকে দেইখা দিয়াম। আমরা ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ পিডাইছে আর অন্নে আল্লাহ তৌফিক দিছে আমরা পিডাই। বুঝজনা ৫ তারিখের পর থাইফা মানে। তোমার মত বড় বড় কুরবানের মত জিগ্যাস করে দেখ, ইমরানে কি করছে। দেইখা আও একটাও বাড়িতে নাই। খোঁজ লইয়া দেইকো আমার নেতা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সে আমাকে ফোন দিছে। অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান খলিল, আমার কথা কি কইছি তুমি আমার সাথে দেখা কর আইসা। দেখা কইরা নম্বর নেও আইসা। তুমি বাবুল মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করে আমার বুলে আয়ো, আমি আসছি দাঁড়াও তুমি।’
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে এনটিভি অনলাইনকে ছাত্রদলনেতা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘রেকর্ডটি আমিও পেয়েছি। রেকর্ডটিতে তিন মিনিট কথা হয়েছে।’
এরপর মো. ইমরান হোসেন ক্যামেরার সামনে বক্তব্য না দিয়ে বিভিন্ন কাজের অজুহাত দেখিয়ে চলে যান।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী কুরবান আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি নাকি রড, সিমেন্ট, ইটবালুর ব্যবসা করে অনেক দুর্নীতি, অনিয়ম করেছি। এ জন্য প্রথমে সে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা চায়। আমি কোনো টাকা দেইনি।’
এ বিষয়ে রৌহা ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি মো. আল মামুন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি মো. ইমরান হোসেনের ফোনকলের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি এবং জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করেছি।’
ফোনকলে হুমকির বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহাবুব চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ছাত্রদলে থেকে অপকর্ম করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’