খুলনায় শিশু হাসমি হত্যায় মাসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

খুলনায় শিশু হাসমি (৯) হত্যা মামলায় তার মা সোনিয়া আক্তারসহ চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ দিলরুবা সুলতানা এ রায় দেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া অন্য তিন আসামি হলেন নুরু নবী, মো. রাসুল ও হাফিজুর রহমান। তবে অপরাধে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মামলার আরেক আসামি রাব্বি সরদারকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি বীরেন্দ্রনাথ সাহা জানান, গত বছরের ৬ জুন খুলনার আড়ংঘাটা থানার সরদারডাঙ্গা গ্রামে শিশু হাসমিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এর পর তার লাশ বস্তায় ভরে পাশের একটি ডোবায় ফেলে রাখা হয়। তিন দিন পর লাশ উদ্ধার করা হলে শিশুটির বাবা হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে মামলা করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের (সিআইডি) পরিদর্শক মিঠু রানী দাস তদন্ত শেষে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পাঁচ আসামির নামে অভিযোগপত্র দেন। মোট ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য শেষে আজ এই রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, হাসমির মা সোনিয়া আক্তার ও বাবা হাফিজুর রহমানের মধ্যে বিচ্ছেদের পর বাবার সঙ্গেই থাকত সে। গত বছর ৬ জুন ছেলেকে বাবার কাছ থেকে অপহরণ করান সোনিয়া। সেদিন রাতেই অপহরণকারীদের সঙ্গে মাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে শিশু হাসমি। এই ঘটনা চাপা দিতেই মা সোনিয়ার সামনেই তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে লাশটি বস্তায় ভরে ডোবার পানিতে ফেলে দেয় আসামিরা।