ঈদের জন্য প্রস্তুত খুলনা, শান্তি বিঘ্নের খবর জানানো যাবে র্যাবকে

খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহার জামাতের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নেওয়া হয়েছে ঈদকে সামনে রেখে বিশেষ ব্যবস্থা।
আবহাওয়া ভালো থাকলে খুলনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে টাউন জামে মসজিদে সকাল ৮টায়। আবহাওয়া খারাপ হলে সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা কালেক্টটের জামে মসজিদেও একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তবে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া নগরীর বসুপাড়া ইসলামাবাদ কমিউনিটি সেন্টার ঈদগাহ, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঈদগাহ মাঠ, খুলনা আলীয়া মাদ্রাসা, বায়তুন নুর জামে মসজিদ, রূপসা বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা বায়তুল্লাহ জামে মসজিদ, নিরালা আবাসিক এলাকা ঈদগাহ, খানজাহান নগর খালাসী মাদ্রাসা ঈদগাহ, দৌলতপুর ঈদগাহ এবং খালিশপুর ঈদগাহ ময়দানসহ নগরীর বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে সংশ্লিষ্ট ঈদগাহ ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির নির্ধারণ করা সময় অনুযায়ী ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এসব ছাড়াও এছাড়াও খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে আলাদাভাবে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় খুলনা সার্কিট হাউজের হেলিপ্যাড, খুলনা অফিসার্স ক্লাব এবং খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা করা হবে। মুসুল্লীদের অযুর জন্য পানির ব্যবস্থাও রাখা হবে।
ঈদের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে খুলনার সব সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত ভবনে যথাযথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সূর্যাস্তের আগে নামবে এই পতাকা।
ঈদ উপলক্ষে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক, গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক (বাংলা ও আরবী) খচিত ব্যানার দিয়ে সাজানো হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে খুলনার বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদের দিন শিশু পার্কসমূহে দু:স্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হবে।
ঈদের পরের তৃতীয় দিন বিকেল পাঁচটায় শহীদ হাদিস পার্কে রাষ্ট্রীয় নীতি ও ধর্মীয় অনুভূতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ চলচ্চিত্র/ হজ্জের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
এবার খুলনা মহানগরীতে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত ১৭২টি স্থানে পশু জবাই করতে হবে এবং ১৮ বছর বয়সের নীচে কাউকে দিয়ে পশু কোরবানী করানো যাবে না। কোরবানীর পশুর চামড়া ভালভাবে ছাড়ানো, রক্ষণাবেক্ষণ,কোরবানীর পর পশুর রক্ত, ময়লা ও অন্যান্য বর্জ্য মাটিতে পুঁতে রাখা এবং পশু জবাইয়ের সাথে সাথে রক্ত ধুয়ে ফেলতে হবে।
আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে এবং ঈদের দিন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। এসময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরী করা, উচ্চস্বরে মাইক/ড্রাম বাজানো, লাল রঙের পানি ছিটানো এবং দ্রুতবেগে মটর সাইকেল চালানো যাবে না। বাস, লঞ্চ ও স্টিমারে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং বেপরোয়াভাবে যান চলাচল করতে না পারে তার জন্য আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
এরপরেও নগরীর কোথাও শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নের খবর পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে র্যাবের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৭৭৭-৭১০৬৯৯, জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৭৭২-৮১৮২২১ এবং কেএমপির কন্ট্রোল রুমের ০১৫৫৮-৩২৮৩০০ ও ০৪১-৮১২৫৬৪ নম্বরে জানানো যাবে।