ছাত্রীর ওপর এসিড নিক্ষেপ
যশোরের শার্শা উপজেলার বাইকুলা গ্রামে আজ বুধবার বখাটের ছোড়া অ্যাসিডে সুমাইয়া আক্তার (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রী দগ্ধ হয়েছে। মেয়েটির মুখের শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ ঝলসে গেছে।
পুলিশ অভিযুক্ত অ্যাসিড নিক্ষেপকারী শামীম ইসলাম বল্টু মিয়াকে আটক করতে পারেনি। তবে তার বাবা খলিলুর রহমানকে আটক করেছে।
এসিডদগ্ধ সুমাইয়া কায়বা-বাইকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আর শামীম ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে।
পুলিশ ও সুমাইয়ার বাবা মিলন উদ্দিন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বাইকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র শামীম ইসলাম বল্টু মিয়া তাঁর মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি বল্টুর অভিভাবককে জানালে বল্টু উল্টো তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। আজ বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ে ক্লাস চলার সময় বল্টু আকস্মিক শ্রেণিকক্ষে ঢুকে সুমাইয়ার ওপর এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। পরে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগাআচড়া বাজারে একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে সুমাইয়ার মা আবিরন নেসা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে একই গ্রামের শামীম প্রথমে পেছন থেকে এসিড ছোড়ে। পিঠে বইয়ের ব্যাগ থানায় তা থেকে রক্ষা পায় সুমাইয়া। এরপর সিরিঞ্জ দিয়ে সুমাইয়ার মুখ লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে। তখন ওড়না দিয়ে মুখ আড়াল করে পালিয়ে আসে। বাড়ি আসার পর সুমাইয়ার কপাল ও নাকের অংশ থেকে চামড়া উঠতে থাকলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিক্ষিপ্ত এসিডের পুরোটা সুমাইয়ার মুখে লাগেনি। এসিডের কিছুটা ছিটকে মেয়েটির কপাল ও নাকের কিছু অংশে লাগায় সেখানে ঝলসে গেছে এবং ফোসকা পড়েছে। তিনি বলেন, দেখে ধারণা করা হচ্ছে, দাহ্য পদার্থটি নাইট্রিক এসিড।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, এসিড নিক্ষেপকারী শামীমকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। বাইকোলা গ্রামে তার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে শামীমের বাবা খলিলুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।