স্ত্রী ও শ্বশুরকে আটকের পর স্কুলছাত্রকে মুক্তি!

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় গতকাল শুক্রবার এক তাঁত ব্যবসায়ীর স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে কারখানার এক শ্রমিক অপহরণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর গ্রামের লোকজন ও অন্য তাঁতশ্রমিকরা ওই শ্রমিকের স্ত্রী ও শ্বশুরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এরপর ওই স্কুলছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্র ইসমাইল (১২) শাহজাদপুরের ধনাঢ্য তাঁত ব্যবসায়ী হাজি সায়েফ উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে সন্দেহভাজন অপহরণকারী তাঁতশ্রমিক আবদুল আওয়ালকেও গ্রামবাসী আটক করে আজ শনিবার সকালে এনায়েতপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
অপহৃত স্কুলছাত্র, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আবদুল আওয়াল ছয়-সাত মাস আগে খামারগ্রামে হাজি সায়েফ উদ্দিনের কারখানায় তাঁতশ্রমিক হিসেবে যোগ দেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে আবদুল আওয়াল ইসমাইলকে বেড়ানোর কথা বলে এনায়েতপুর সিনিয়র মাদ্রাসা এলাকা থেকে রংপুরের পীরগঞ্জে নিয়ে যান। এর পর থেকে দুজনকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি এনায়েতপুর থানায় জানানো হয়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে খামার গ্রামের লোকজন ও অন্য তাঁতশ্রমিকরা উপজেলার খুকনীর গ্রামে আওয়ালের শ্বশুরবাড়ি থেকে শ্বশুর গোপাল মণ্ডল ও স্ত্রী উজালা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, স্ত্রী ও শ্বশুরকে আটকের খবর পেয়ে আওয়াল রাতেই স্কুলছাত্র ইসমাইলকে নিয়ে পীরগঞ্জ থেকে খামারগ্রামে চলে আসেন। ভোরে বাড়ি ফিরে আসে ইসমাইল। সকালে শাহজাদপুরের গোপালপুর গ্রাম থেকে জনতা আওয়ালকে আটক করে কারখানায় আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।