সুজনের তথ্য সঠিক নয় : নির্বাচন কমিশন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/28/photo-1438103832.jpg)
নারী ভোটার সংখ্যা নিয়ে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) করা প্রতিবেদন ও মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, সম্প্রতি সুজনের সংবাদ সম্মেলনে নারী ভোটার কমে যাওয়ার যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামানের পাঠানো ওই ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’ তে পুরুষ ও নারী ভোটারের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৮ সালে ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি ছিল। অথচ ওই সময়ে ২০০১ সালে আদমশুমারি অনুযায়ী নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি ছিল। তখন পুরুষ ছিল ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং নারী ছিল ৪৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২০০৮ সালে অনেক পুরুষ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। পরে পুরুষের বিপরীতে যে জেন্ডার গ্যাপ ছিল তা হালনাগাদ কর্মসূচিতে ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৫ জুন ২০১৫ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী পুরুষ ও নারী ভোটারের শতকরা হার যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৩৯ এবং ৪৯ দশমিক ৬১। যা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার শতকরা হারের প্রায় কাছাকাছি। ২০১১ সালে পুরুষের হার ছিল ৫০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ এবং নারীর হার ছিল ৪৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুজনের সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু জেলায় নারী ভোটার হওয়ার সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুজনের ভাষ্যমতে, সবচেয়ে বড় জেন্ডার গ্যাপ হলো ফেনীতে। যা ৩৫ দশমিক তিন শতাংশ। লক্ষ্মীপুরে ৩০ দশমিক ৮২ শতাংশ, নোয়াখালীতে ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, চাঁদপুরে ২৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, কুমিল্লায় ২৩ দশমিক চার শতাংশ, কক্সবাজারে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ভোলায় ২০ দশমিক ২৩ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে উল্লিখিত জেলাগুলোর ভোটার সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ফেনীতে পুরুষ ও নারী ভোটারের শতকরা হার যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৩৭ ও ৪৯ দশমিক ৬৩, লক্ষ্মীপুরে ৫০ দশমিক ৩৪ ও ৪৯ দশমিক ৬৬, নোয়াখালীতে ৫০ দশমিক ৩৭ ও ৪৯ দশমিক ৬৩, চাঁদপুরে ৫০ দশমিক ৬১ ও ৪৯ দশমিক ৩৯, কুমিল্লাতে ৪৯ দশমিক ৯৫ ও ৫০ দশমিক শূন্য ৪, কক্সবাজারে ৫১ দশমিক ৪১ ও ৪৮ দশমিক ৫৮ এবং ভোলায় ৫০ দশমিক ৬৩ ও ৪৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এতে দেখা যায়, সুজনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত তথ্যাদি সম্পূর্ণ ভুল।
বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকাকে বিতর্কিত না করার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।