উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার কারণে রোহিঙ্গা প্রবেশ কমেছে

মিয়ানমারের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার কারণে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশকারীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগীয় টাস্কফোর্সের এক সভায় এ কথা জানান বিভাগীয় কমিশনার। তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ দেশের সব সংস্থার সদস্যের কঠোর নজরদারির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই প্রশাসনের।
আবদুল মান্নান বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়ায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। এ সময় এক শ্রেণির জনপ্রতিনিধি ও দালালরা যেন রোহিঙ্গাদের হয়রানি করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এ ছাড়া নৌকাডুবির ঘটনায় নিয়মিত মৃত্যুর হার কমাতে কোস্টগার্ডকে আরো বেশি উদ্যোগী হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ঘর তৈরির জন্য অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধে এ পর্যন্ত ৪০৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সেনাবাহিনী কাজ শুরু করার পর থেকে রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে শৃঙ্খলা ফিরেছে এবং সব বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করছেন।
জনপ্রশাসনের ৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত কাজ তদারকির করছেন। আগামী কিছু দিনের মধ্যে রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্র, এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান আবদুল মান্নান।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম জানান, নাফ নদীর ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে দুই কিলোমিটার মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত। এই স্থানে নদীর নাব্যতা বেশি। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা মানুষদের আতঙ্ক ও ভীতির কারণেও নৌকাডুবির সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বান্দবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক আবদুস সবুর মণ্ডল, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোরশেদুল ইসলাম, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মানজারে মান্নান, অতিরিক্ত ডিআইজি কুসুম দেওয়ান, হাইওয়ে পুলিশের এসপি পরিতোষ ঘোষ বক্তব্য দেন।