খুলনায় স্ত্রী হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় স্ত্রী রহিমা বেগমকে (২৪) হত্যার দায়ে স্বামী মো. মনির হাওলাদারকে (৩৫) ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া এলাকার বাসায় স্ত্রী রহিমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মনির হাওলাদার। স্ত্রীকে হত্যার পর মনির ঘরের বাইরে দরজায় তালা দিয়ে চলে যান। পরে বিবেকের তাড়নায় তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলামের আদালতে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আদালত তাঁর প্রাথমিক বক্তব্য শুনে দৌলতপুর থানা পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ হত্যার ঘটনায় সেদিনই নিহতের বাবা মো. আবদুল ওহাব মিয়া দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। একই দিন আসামি মনির হাওলাদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলুর রহমান খান ২০১৬ সালের ১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৩ জন সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ছিলেন মহানগর আইনজীবী সুলতানা রহমান শিল্পী ও এপিপি মো. কামরুল হোসেন জোয়ার্দার।