মারা গেলেন আহত সেই ছাত্রলীগকর্মী

চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত ছাত্রলীগকর্মী কাঁকন মল্লিক মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাঁকন। তিনি সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় নগরীর চান্দগাঁও সিঅ্যান্ডবি টেকবাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন কাঁকন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগর ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন বাবুকে বাঁচাতে গিয়ে কাঁকন মল্লিকসহ চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে আজিম উদ্দিন ও রনি দাশের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে কাঁকনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, ঘটনার দিন পূর্ববিরোধের জের ধরে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কাঁকনের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আহত হন তিনি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান তিনি। পরে তাঁর মা মিনতি মল্লিক বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৮-১০ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা করেছেন।
নগর ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন বাবু জানান, চান্দগাঁওয়ের সিঅ্যান্ডবি টেকবাজার এলাকার মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করতেন তিনি। কাঁকন তাঁর অনুসারী।
তাঁর কাজে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে হত্যার উদ্দেশে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে যায়। এ সময় কাঁকন এসে বাধা দেন। ফলে তাঁর শরীরে আঘাত লাগে।
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগেও একবার প্রতিপক্ষের হামলায় কাঁকন ও আলাউদ্দিন বাবু আহত হয়েছিলেন। এবার সেই বাবুকে বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ দিলেন কাঁকন মল্লিক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা আদৌ গ্রেপ্তার হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতার, অভিযোগ আ জ ম নাছিরের অনুসারীদের কোণঠাসা করার লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
নিহত কাঁকন মল্লিক চান্দগাঁও এলাকার নেপাল মল্লিকের একমাত্র ছেলে। সন্তান হারিয়ে মা মিনতি মল্লিকও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কাঁকন ছিলেন তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ফলে এখন কীভাবে সামনের দিনগুলো পার করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।