সাবেক ছাত্রদল নেতার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ফেনীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের পেছনে পেট্রল বোমা ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সদর থানার ফাজিলপুর ই্উনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নূরে সালাম মিলন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসেনের আদালতে ছাত্রদল নেতা মিলন জবানবন্দি দেন।
ফেনীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানান, এ ছাড়া খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর পুলিশ প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায়। তবে আদালত এদের রিমান্ড না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে গত শনিবার চারদিনের সফরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রওনা দেন খালেদা জিয়া। বিকেলে ফেনী শহরের কাছে মোহাম্মদ আল বাজার পার হওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা গাড়িবহরের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় ওই ব্যক্তিরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই, ডিবিসি, একাত্তর ও বৈশাখী টেলিভিশনের গাড়িসহ বেশ কিছু যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এরপর অবশ্য চট্টগ্রামেও বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জন্য বিএনপি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করে। অন্যদিকে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অভিযোগ জানায়।
এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ফের ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেনীর মহীপালের ফ্লাইওভার এলাকা অতিক্রম করার কয়েক মিনিট আগে সেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে বাস দুটি আগুন ধরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। এর আগেই বাস থেকে নেমে যান যাত্রীরা।
পেট্রলবোমা হামলা ও বাস পোড়ানোর মামলায় গতকাল বুধবার বিকেলে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যাওয়ার সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে ফেনীর আদালত পরিদর্শক এ কে এম নজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৩০ আসামিকে অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে।