তারকার বহর নিয়ে ঢাকা আসছেন মমতা

তারকাদের বিশাল একটি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকাদের এ বহরে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী মুনমুন সেন, এ সময়ের জনপ্রিয় নায়ক দেব। আছেন দলের সাবেক সংসদ সদস্য ও সংগীতশিল্পী কবির সুমন।
শুধু তাঁরাই নন, অভিনেতা প্রসেনজিৎ, শিল্পী নচিকেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, কবি সুবোধ সরকার, শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন, অভিনেতা অরিন্দম শীলও আসছেন মমতার সফরসঙ্গী হয়ে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থকে রক্ষা করে না—এ কারণ দেখিয়ে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে আসেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ কারণে সেবার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই সম্ভব হয়নি। তবে এবার মমতা ঢাকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের ইচ্ছা অনুযায়ী ৪০ : ৪০ হারে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করে নিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রস্তুত।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন মমতা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে মমতার তিনদিনের সফরে ছিটমহল বিনিময় নিয়েও আলোচনা হবে।
আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার নজরুল ইনস্টিটিউট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে যাবেন তিনি। সফরে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদও পরিদর্শন করবেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করতে হর্ষ নিওটিয়া, জে পি চৌধুরী ও সঞ্জয় বুধিয়ার মতো ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আসছেন। ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এ বৈঠকের আয়োজন করেছে।
এদিকে, দিল্লিতে অবস্থানরত নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন ফেসবুকে মমতার বাংলাদেশ সফরের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মমতাকে বাংলাদেশের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া উচিত নয়। কারণ, তিনি জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডের সমর্থক।’ একই সঙ্গে তিনি মমতার সফরসঙ্গী হওয়ায় সংগীতশিল্পী কবির সুমনেরও সমালোচনা করেন। কবির সুমনকে ‘সুবিধাবাদী ও মৌলবাদের সমর্থক’ বলে আখ্যায়িত করেন তসলিমা।