‘অনেক কষ্ট করে ক্রিকেট খেলেছি’

‘আমি একদিনে মেহেদী হাসান মিরাজ হইনি। অনেক কষ্ট সাধন করে এখানে এসেছি। আমি অনেক কষ্ট করে ক্রিকেট খেলেছি।’
বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের মূল নায়ক তিনি। প্রায় একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন পরাশক্তি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। গত বছর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ওই সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় পায় ইংল্যান্ড, কিন্তু অফস্পিনে ভুগিয়েছিলেন কুক, রুটদের। কয়েকদিন পর ঢাকা টেস্টে ওরা হেরেই গেল বাংলাদেশের সঙ্গে! এবার জয়ের নায়ক মিরাজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়।
আজ সোমবার দিনটিও মিরাজের কাছে ঐতিহাসিক। ওই জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মিরাজের পরিবারে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্লট দেওয়া হবে। আজ খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) মিরাজকে দিয়েছে তিন কাঠার একটি প্লটের দলিল। মহানগরীর মুজগুন্নী এলাকায় ওই জমিতে বাড়িও নির্মাণ করে দেবে কেডিএ। আর এতে মিরাজকে খরচ করতে হয়েছে মাত্র এক হাজার এক টাকা!
কেডিএ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিরাজকে ওই প্লটের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মিরাজ ও তাঁর বাবা জালাল তালুকদার।
অনুষ্ঠানে আবেগঘন বক্তব্য দেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় আমার গাড়ি ভাড়াও ছিল না। আমাকে সমর্থন দেওয়ার মতো অবস্থা আমার পরিবারের ছিল না। আমার বাবা অনেক কষ্ট করে কাজ করে আমাদেরকে মানুষ করেছেন। সবাইকে একটা জিনিস জানাতে চাই, মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সৎ প্রচেষ্টা থাকলে মানুষ অবশ্যই অনেক ওপরে যাবে।’
নিজের সফলতার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মিরাজ। তিনি জানান, অনূর্ধ্ব ১৫ দলে সুযোগ পাওয়ার পর বিসিবি তাঁকে ব্যাপক সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে। এ জন্য তিনি বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
‘মিরাজ সারা বাংলাদেশের’
মিরাজের বাবা জালাল তালুকদার অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা দোয়া করবেন। মিরাজ আমার একার না। মিরাজ সারা বাংলাদেশের, সারা বিশ্বের। শুধু খুলনার না, বরিশালের না। আমার যতদিন পালার (লালন-পালন) ছিল আমি পেলেছি। এখন আপনাদের হাতে। আপনাদের ছেলে। আপনারাই দেখবেন।’
জালাল তালুকদার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি অনেক দীর্ঘজীবী হোন।’