খুলনায় ভোট গণনার সময় ভাঙচুর, ব্যালট বাক্স ছিনতাই

খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনের ভোট গণনাকালে হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। তারা জেলা স্টেডিয়াম ভাঙচুর ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর ভোট গণনা স্থগিত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিষদ এবং সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে শিশুস্বাস্থ্য সেবা পরিষদ নামে দুটি প্যানেল।
মিজানুর রহমান দাবি করেন, তাঁর প্যানেল যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন প্রতিপক্ষের লোকজন ঢুকে ভাঙচুর করে ব্যালট বাক্স নিয়ে যায়।
অন্যদিকে সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বড় ব্যবধানে তাঁর প্যানেল এগিয়ে ছিল। কিন্তু রাত ১০টার দিকে ভাঙচুর করে ব্যালট বাক্স নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা।
ভোট গণনাকালে এমপি মিজানের সমর্থকরা মোটরসাইকেলে করে এসে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবস্থিত শিশু ফাউন্ডেশনে প্রবেশের চেষ্টায় চালায় এবং হাঙ্গামা করে বলে জানান খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র এডিসি মনিরা সুলতানা। তবে তিনি ব্যালট ছিনতাইয়ের ব্যাপারে জানেন না বলে জানান।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই নেতার নেতৃত্বে দুটি প্যানেলে ২০ জন করে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। মোট দুই হাজার ১৮৬ জন আজীবন সদস্যের মধ্যে প্রায় দুই হাজার ভোটার এবার ভোট দিয়েছিলেন।
এই ব্যালট বাক্স ছিনতাইকালে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বোমাবাজি ও গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনায় খুলনা সদর হাসপাতালে নয়জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পরে গভীর রাতে পুলিশ ও র্যাব পাহারায় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। আর আলহাজ মিজানুর রহমান খুলনা ইউনাইটেড ক্লাবে অবস্থান নেন।
খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচিত কর্মকর্তারাই শিশু হাসপাতাল পরিচালনা করেন। নির্বাচিত ২০ জন সদস্যের মধ্যে ফাউন্ডেশনের একজন মহাসচিব হন। বাকিদের নিয়ে খুলনা শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পর্যদ গঠিত হয়।