নারায়ণগঞ্জ সদরের রাস্তাগুলোর বেশিরভাগই বেহাল
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার রাস্তাগুলোর বেশির ভাগেরই বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তার কোনোটিতে কোমর সমান পানি। কোনোটির অবস্থা এতই খারাপ যে প্রায় যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা এসব সড়কের কাদামাটি ও পানি পেরিয়েই স্কুল-কলেজ ও কর্মস্থলে যেতে হয়।urgentPhoto
স্থানীয় লোকজন জানান, বেশির ভাগ রাস্তার পাশেই শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। তাই ভারী যানবাহন চলাচল করায় টিকছে না সড়কগুলো। কয়েকটি সড়ক মেরামতে কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগের কথা জানালেও এখনো এর বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
বর্ষা এলেই পাগলা দেলপাড়া এলাকার রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যায়। খানাখন্দে আটকে যায় যানবাহন। বোঝার উপায় থাকে না রাস্তার কোন অংশ ভালো আর কোথায় ভাঙাচোরা। গাড়ি চলাচলের উপযোগী থাকে না। কর্মস্থলে ও স্কুল-কলেজে কোমর পানি ভেঙেই যাতায়াত করতে হয়।
ব্যাংক কর্মকর্তা তৈয়ব আলী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে কেউ আসতে চায় না। যারা আসে তারাই দুর্ঘটনার শিকার হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। মাছের ঘেরের জন্য পানি আটকে থাকছে। প্রতিদিন যাতায়াতে আমাদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
কলেজছাত্রী তাছলিমা আক্তার তিশা বলেন, ‘অনেকদিন ধরে এই রাস্তাটার এই অবস্থা। আমরা ঠিকমতো স্কুল-কলেজে যেতে পারি না।’
একই অবস্থা পাগলা বাজার, পাগলা জালকুড়ি, দেলপাড়া রোড, পোস্ট অফিস রোড, শাসনগাঁ থেকে বক্তাবলী রোড, ফতুল্লা রেল ক্রসিং রোড, ভোলাইল বক্তাবলী ফেরিঘাট, উত্তর মাজদাইর মাজার গাবতলী রোডের।
ফতুল্লা রেল ক্রসিং রোডে আবদুল মালেক বলেন, রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। রাস্তা ঠিক করার পর পানি উঠে আবার ভেঙে যায়।
নারায়ণগঞ্জে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আকরামুল কবীর বলেন, ‘আমাদের বিশেষ প্রকল্প অনুমোদনের পর্যায়ে আছে। যখন এসব রাস্তা হয়ে যাবে তখন আমার বিশ্বাস সমস্যা আর থাকবে না। টেন্ডার করে ঠিকাদারও নির্বাচন করে ফেলেছি।’
বেহাল সড়কের ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা প্রায় ১১০ কোটি টাকা শুধু রাস্তা-ঘাট মেরামতের জন্যই বরাদ্দ আনছি। এখন শুধু টেন্ডারের অপেক্ষা আছে। পর্যায়ক্রমে টেন্ডার হবে। আমরা আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজগুলো সম্পন্ন করব।’