ট্রাক চুরির দায়ে খুলনার ওয়ার্ড আ. লীগ নেতার কারাদণ্ড

ট্রাক চুরির দায়ে খুলনার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার এমদাদুল ইসলাম এবং মামলার বাদী আবদুর রাজ্জাক লিটন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন খুলনার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কিসমত আলী (৫৫), মো. সুমন, ফরিদুল ইসলাম ফরিদ ও মো. হাসান। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলা অপর একজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী আবদুর রাজ্জাক লিটন বাদী হয়ে ২০১৫ সালে ৫ সেপ্টেম্বর রমনা মডেল থানায় মামলা করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, বরিশালে যাওয়ার কথা বলে তাঁর ড্রামবোঝাই ট্রাক আসামিরা যোগসাজসে নিয়ে যায়। কিন্তু তারা বরিশাল না নিয়ে ট্রাকটি গোপন করে রাখে।
রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল ইসলাম আদালতে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খুলনা জেলার খানজাহান আলী থানাধীন বিসিক শিল্প নগরীর সাত্তার মিরের রাইস মিলের পাশ থেকে আসামি কিসমত এবং তাজমুলকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খানজাহান আলী পুলিশ ফাঁড়ির পাশে সৈয়দ কিসমত আলীর গ্যারেজ থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। এই ট্রাক উদ্ধারকাজে র্যাব-৬ রমনা পুলিশকে সহায়তা করেছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সৈয়দ কিসমত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়। বাদীসহ আটজনের সাক্ষ্য শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী রায় ঘোষণা করেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাজমুল কবির নামের একজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবিদ আলী জানান, সৈয়দ কিসমত আলী খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।