১০ লাখ টাকা ছিনতাই, দুই পুলিশসহ চারজনের স্বীকারোক্তি

গরু ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা ছিনতাই করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া থানার দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিচারিক হাকিম পলাশ কুমার দালালের খাস খামরায় পৃথক পৃথকভাবে তাঁরা এই জবানবন্দি দেন।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, তাঁরা সবাই নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
যাঁরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁরা হলেন ডুমুরিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রউফ বিশ্বাস ও কনস্টেবল নাদিম হোসেন, পুলিশ সোর্স রাজু ঘোষ ও মনির সরদার।
স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেওয়ার পর বিচারিক হাকিম চার আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এএসআই আবদুর রউফ বিশ্বাস এর আগে ঝিনাইদহ থাকাকালে সোনার বিস্কুট ছিনতাই ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতক্ষীরার নলতার গরু ব্যবসায়ী মো. গোলাম রসুল লিটন একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ডুমুরিয়ার খার্নিয়া গরুর হাটে গরু বিক্রি করে ব্যাপারীরা ট্রাকে করে ফিরছিলেন। এ সময় ডুমুরিয়ার চাকুন্দিয়া মাদ্রাসার সামনে দুই মোটরসাইকেল চালক তাঁদের গতিরোধ করেন। মাদক তল্লাশির কথা বলে গরু ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে অস্ত্র দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যান ওই দুজন।
জেলা পুলিশ সুপার নিজামউল হক মোল্লা জানান, দুই পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ছয় লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দুই সোর্সের কাছ থেকে এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। স্বেচ্ছায় তাঁরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন।