ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দাবি করেছে, এ সময় তাঁদের কাছ থেকে মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী লোকমানের স্ত্রী শাকিলা, ছেলে আসিফ, চাচা বাদল, বোন আলেয়া, বোনজামাই আবুল কালাম, সহযোগী আবদুল্লাহ ও হুন্ডি ব্যবসায়ী আওলাদ।
র্যাব ১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান আজ শুক্রবার দুপুরে আদমজী নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি দাবি করেন, গত ২৩ জুলাই রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকা থেকে ব্যবসায়ী ফয়েজ আহম্মেদ (৬৬) মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। চারজন ব্যক্তি তাঁকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। তারপর ৯ আগস্ট ফয়েজের পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন আটককৃতরা।
এ দিন দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ব্যবসায়ীর পরিবার। পরে নারায়ণগঞ্জের দুই নম্বর গেট ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে অপহরণকারীদের সহযোগীদের ১৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়। অপহরণকারীরা আরো ৫০ লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
এরপর দুই দফায় ইসলামী ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা ও ন্যাশনাল ব্যাংক মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর শাখার মাধ্যমে আরো ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় অপহরণকারীদের। মোট ২৮ লাখ টাকা পেয়ে মালয়েশিয়ায় ফয়েজ আহম্মেদকে ছেড়ে দেয়। ফয়েজ আহম্মেদ ১৯ আগস্ট দেশে ফিরে আসেন।
এদিকে অপহৃত ফয়েজ আহম্মেদের পরিবার গত ১৬ আগস্ট র্যাব ১১-এর কাছে অভিযোগ করার পরপরই সম্ভাব্য স্থানে খোঁজখবর শুরু হয়। গত দুদিনে অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি করে র্যাব।
এ সময় শাকিলার কাছ থেকে স্বামী লোকমানের দুটিসহ মোট ছয়টি পাসপোর্ট ও কয়েকটি সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান।