মিয়ানমারফেরত ১২৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

মিয়ানমারফেরত ১২৫ বাংলাদেশিকে পরিবার ও নিজ নিজ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়। পরে এক ব্রিফিংয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের পক্ষে জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিনিয়র এএসপি) ছত্রধর ত্রিপুরা জানান, মিয়ানমারফেরত বাংলাদেশিদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ২৫ জনকে রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর ১০০ জনকে নিজ নিজ থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত দুদিনে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে অন্তত ৬০ জন দালালের নাম পেয়েছে পুলিশ। এসব দালালের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে স্ব-স্ব থানায়।
ছত্রধর ত্রিপুরা জানান, গত দুদিনে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, মিয়ানমারফেরত ১২৫ জনের মধ্যে কোনো রোহিঙ্গা নেই। এর পরও আরো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১০০ জনকে নিজ নিজ থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ দফায় ৬২৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী দেশে ফিরল।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ২৫ জনকে কক্সবাজারের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেখানে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অরুণ পাল তাদের রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, অপ্রাপ্তবয়স্কদের সবার বাড়ি কক্সবাজারে। আজকের মধ্যে সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত মঙ্গলবার বান্দরবান জেলার ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়ায় পতাকা বৈঠক শেষে দুপুর দেড়টার দিকে এসব অভিবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ১২৫ জনের মধ্যে দেশের ১৪টি জেলার অধিবাসী রয়েছে। এদের মধ্যে শুধু কক্সবাজার জেলার অধিবাসী রয়েছে ৮৬ জন। বাকি জেলাগুলো হলো বান্দরবান, ফেনী, ভোলা, চাঁদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও মেহেরপুর।