খুলনায় খালেকের ৩১ দফার ইশতেহার

জলাবদ্ধতামুক্ত আধুনিক পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে এবং সর্বাধিক নাগরিক সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ৩১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
আজ বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
এর আগে মেয়র থাকাকালে নিজের করা উন্নয়ন কাজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, তাঁর আচরনে কেউ কষ্ট পেলে সেজন্য তিনি দুঃখিত।
ইশতেহারের ৩১ দফাগুলো হলো-১. সিটি গভর্নমেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ, ২. পরিকল্পনা গ্রহণে পরামর্শক কমিটি গঠন, ৩. পানি ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার উদ্যোগ, ৪. স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, ৫. হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে সেবার মান বৃদ্ধি, ৬. কবরস্থান-শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন, ৭. মাদকমুক্ত নগর গড়ে তোলা, ৮. নতুন আয়ের উৎস সৃষ্টি, ৯. সিটি সেন্টার গড়ে তোলা, ১০. বিনামূল্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি, ১১. পার্ক-উদ্যান নির্মাণ ও বনায়ন সৃষ্টি, ১২. গুরুত্ব বিবেচনা করে সড়ক উন্নয়ন, ১৩. সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটানো, ১৪. মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে সড়কের নামকরণ, ১৫. প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্রীড়া উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ, ১৬. সোলার পার্ক আধুনিকায়ন, ১৭. বধ্যভূমিগুলোর স্মৃতি সংরক্ষণ, ১৮. কেসিসিকে দুর্নীতি মুক্ত করা, ১৯. যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবহার উন্নয়ন, ২০. শিক্ষা ব্যবহার উন্নয়ন, ২১. নারী উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা প্রদান, ২২. সুইমিং পুল স্থাপন, ২৩. বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিদের সহয়াতা প্রদান, ২৪. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ, ২৫. নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে আরো উদ্যোগ গ্রহণ, ২৬. তিনটি নতুন থানা পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা, ২৭. আধুনিক কসাইখানা নির্মান, ২৮. খালিশপুর ও রূপসা শিল্পাঞ্চলের উন্নয়ন, ২৯. ওয়াসা-কেডিএ-রেলওয়ে- টেলি কমিউনিকেশন ও বিদ্যুৎ পরিসেবা উন্নয়ন, ৩০. কেসিসিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ৩১. খুলনা মহানগরীর সম্প্রসারনে উদ্যোগ নেওয়া।
সিটি গভর্নমেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ সাংবিধানিকভাবে সাংঘর্ষিক কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, এই সিটি গভর্নমেন্ট ব্যবস্থা আগে অনেক মেয়রই সমর্থন করেছেন। এছাড়া এই ব্যবস্থা চালু না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
লিখিত বক্তব্য তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, এর আগে পাঁচবছর কেসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নগরজীবনে সুযোগ সুবিধা দিতে এবং নগরীর উন্নয়নে তিনি কতটা সফল হয়েছিলেন তার মূল্যায়নের ভার ভোটারদের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঐ সময়ের মধ্যে কেসিসির স্বার্থের বাইরে তাঁর জ্ঞাতসারে কোন কাজ করেননি। তারপরও মানুষ মাত্র ভুল হয়। তিনিও মনের অজান্তে কোন ভুল করে থাকতে পারেন। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অথবা অন্য কোন সময় নগরবাসীর কেউ যদি তার আচরনে মনে কষ্ট বা দুঃখ পেয়ে থাকেন, তবে তার জন্য তিনি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ভোটারের কাছে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন এই নেতা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মেয়র নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী এস এম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা চেম্বার সভাপতি কাজী আমিনুল হকসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ।