এরশাদকে ‘স্বৈরাচার’ না বলার আহ্বান আনিসুলের

সাবেক সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে আর ‘স্বৈরাচার’ না বলার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁর দলেরই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, যিনি সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন আনিসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুও উপস্থিত ছিলেন।
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই বলেন, এরশাদের সরকার স্বৈরাচার সরকার ছিল। আমি বলতে চাই, ১৯৮৬ সালে আমরা জাতীয় নির্বাচন দিয়েছিলাম। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছিল। সেদিন একটা পার্লামেন্ট হয়েছিল। তারপরে আমরা কী করে স্বৈরাচার সরকার হতে পারি। আমাদের সময় আমরা দলীয়করণ করিনি। আমাদের পার্টির লোকজন জমি দখল করেনি, চাঁদাবাজি করেনি। অথচ মিডিয়াতেও আমাদের স্বৈরাচার বলা হয়। কেন বলা হয় আমরা জানি না।’
‘এরশাদ সাহেব স্বৈরাচার? তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর কারাগারে থেকে পাঁচটি সংসদীয় আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এর কোনো নজির নেই। তাঁকে আপনারা স্বৈরাচার বলেন? কারা বলেন? যাঁরা বলেন, তারা নির্বাচিত হতে পারেন না, নির্বাচনে যেতে পারেন না। তাঁরাই বলতে চান যে, এরশাদ স্বৈরাচার।’ বলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তিনি বলেন, সরকার আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এতে মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে তেলের দাম কমলেও দেশে তেলের দাম না কমিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ দাম প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শায়েস্তা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায়, সংসদ সদস্য মাহজাবিন মোর্শেদ, মো. ইলিয়াছ প্রমুখ।