কোকোর স্ত্রী-মেয়ের জবাব দাখিল ১০ সেপ্টেম্বর
ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী ও দুই মেয়ের সমনের জবাব দাখিলের জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এ দিন নির্ধারণ করেন। আজ এ মামলায় জবাব দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তাঁদের পক্ষের আইনজীবী আজ জবাব দাখিল করতে না পারায় সময়ের আবেদন করেন। বিচারক সময়ের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।
চলতি বছরের ১৪ জুলাই খালেদা জিয়ার পক্ষে জবাব দাখিল করেন তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেজবা।
ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি ঋণখেলাপির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে জবাব দাখিল করেছেন।
এ মামলায় গত ১২ এপ্রিল খালেদা জিয়া, মৃত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানসহ চারজনকে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন।
এ মামলার শুরুতে নতুন করে বিবাদীভুক্ত এ চারজন ছিলেন না। কোকোর মৃত্যুর কারণে ইসলামী শরিয়াহ আইনের বিধান মোতাবেক উত্তরাধিকারী হিসেবে খালেদাসহ অন্যদের বিবাদীভুক্ত করতে গত ৮ মার্চ ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে আবেদন জানান সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। আবেদনের পর গত ১৬ মার্চ আদালত তাঁদের চারজনকে বিবাদীভুক্ত করেন।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর বিবাদীদের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপের অভিযোগে মামলা করেন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ডান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদন করা ঋণ মঞ্জুর করে।
এরপর ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে ক্রমাগত কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
এ ছাড়া আরো অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।
এ মামলার বিবাদীরা হলেন, ড্যান্ডি ডাইং লিমিটেড, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।
এ মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তাঁর স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদীভুক্ত করা হয়।