কারিনাকে নিয়ে সমালোচনার প্রতিবাদ করলেন টুইঙ্কল
মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের উপর হামলার ঘটনা সকলকে অবাক করে দিয়েছিল। ঘটনার পর লীলাবতি হাসপাতালে চিকিৎসা, তারপর ইতোমধ্যেই ছাড়াও পেয়েছেন সাইফ। তবে ঘটনার দিন গুরুতর আহত সাইফের সঙ্গে হাসপাতালে যাননি করিনা কাপুর খান। আর তাতেই কারিনাকে নিয়ে নানান গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। অনেকেই বলতে থাকেন, কারিনা আসলে নেশাগ্রস্ত, সাইফের সঙ্গে ঘটনার দিন তিনি মাতায় হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে কারিনার সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী ও লেখিকা টুইঙ্কল খান্না।
ঘটনা প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ইনস্টাগ্রামে টুইঙ্কল লেখেন, ‘সাইফ আলী খানের ছুরিকাঘাতের পর অনেকেই এখন আরও বেশি করে সচেতন হয়েছেন। ঘরে ঘরে নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে অনেকেই সজাগ থাকছেন। ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যেই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। তবে সাইফ যখন হাসপাতালে, তখন হাস্যকর কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে হামলার সময় তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। কিংবা হামলার সময় তাকে সাহায্য করার পরিস্থিতি তার ছিল না, কারণ তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। যেহেতু কোনো প্রমাণ নেই, তাই এই বোকা তত্ত্বগুলোকে থামানো যায়নি। বউয়ের ওপর দোষ চাপিয়ে লোকে আনন্দ পায়।- এটা খুব পরিচিত বিষয়।’
এটা একটা বড় সমস্যা। স্বামীদের সমস্ত ভুলের জন্য সবসময় স্ত্রীদেরই দোষারোপ করা হয়। টুইঙ্কল লেখেন, এটা একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যদি আপনার স্বামীর ওজন খুব বেশি বেড়ে যায় তাহলে বলা হবে আপনি স্বামীর স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন না। যদি সে খুব বেশি রোগা হয়ে যায়, তাহলে লোকে বলবে, আপনি ঠিকমতো খাওয়াচ্ছেন না। আপনার ঘর যদি অপরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে আপনি অলস। যদি খুব যত্নশীল হন, তাহলে লোকে বলবে আপনি একটি নিয়ন্ত্রণ ফ্রিক। আপনি যদি কাজ করেন তাহলে হবেন উচ্চাভিলাষী, আপনি যদি তা না করেন তহলে আপনি কোনো কিছুর জন্যই ভাল নন। যদি তিনি আপনার উপর যত্নশীল হন তাহলেও বলবে আপনি নিশ্চয় কারসাজি করছেন। যদি তিনি উদাসীন হয় তাহলেও তাকে সঠিকভাবে পরিচালনা না করার জন্য আপনাকেই দোষারোপ করা হবে।'
টুইঙ্কল লেখেন, ‘গত সপ্তাহে, আমি একটা ছোট পারিবারিক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলাম যেখানে একজন আত্মীয় মন্তব্য করেন, দেখো, আমার পাঁচ কাকার মাথায় টাক পড়েছে, আর যার এখনও চুল আছে, একমাত্র তিনিই বিবাহিত নন। আপাতদৃষ্টিতে, তাই টাকের জন্যও স্ত্রীদেরও দায়ী করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে একতা কথা বলা খুব প্রয়োজন প্রত্যেক পুরুষ, তিনি পরাজিত হন কিংবা জয়ী, তাঁদের সকলের পিছনেই কিন্তু একজন নারী রয়েছেন। আর যাই ঘটুক তার নিন্দা হবেই।’
প্রসঙ্গত, সাইফের উপর হামলার রাতে কারিনা সম্ভবত নিজের বাড়িতে ছিলেন না। কারিনার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে, বন্ধুদের সঙ্গে নাইট আউটের ছবিই তার প্রমাণ। যে ছবিতে ছিলেন তার বন্ধু সোনম কাপুরও। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে সাইফ কিংবা কারিনা সেভাবে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্যই করেননি। তবে কারিনা এর আগে ঘটনা প্রসঙ্গে নিজের নীরবতা ভেঙে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘এটি আমাদের পরিবারের জন্য একটি অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং দিন। আমরা এখনও ঠিক কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এই কঠিন সময়ে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে এবং বিনীতভাবে মিডিয়া ও ফটোগ্রাফারদেরকে অনুরোধ করছি, জল্পনা- কল্পনা করে কিছু লিখবেন না।’