খালেদা জিয়ার আবেদনের রায় যেকোনো দিন
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার বাতিল চেয়ে করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনো দিন রায় দেওয়া হবে।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট নিম্ন আদালতের নথি তলব চেয়ে এ মামলায় খালেদা জিয়ার করা দুটি আবেদন খারিজ করে দেন একই আদালত।
আজ খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে জানান, মামলাটির রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। যেকোনো দিন রায় দেওয়া হবে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে মামলাটি বাতিল চেয়ে একই বছর হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে একই বছরের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (প্রয়াত), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (প্রয়াত), মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (প্রয়াত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।